রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে ভরা মৌসুমেও চালের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ভোগান্তির শেষ নেই।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মোটা বুলেট চাল ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমন মোটা ৬২ টাকা থেকে ৬৪ টাকা, প্রকারভেদে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা পর্যন্ত। স্বর্ণাচাল ৬৪ টাকা থেকে ৬৬ টাকা, মিনিকেট প্রকারভেদে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা সদরের দক্ষিণ বাজারের চাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান ও পলাশ সাহা জানান, গত ১৫ দিনে যে চালের দাম ছিল তা থেকে কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাল ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, চাহিদা অনুযায়ী ধানের সরবরাহ কম বলে মিলাররা আমাদের জানিয়েছেন। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে যে চাল উৎপন্ন হয় তা দিয়ে বছরের ৩ থেকে ৪ মাসের চাহিদা মিটানো সম্ভব।
উত্তর বাজারের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের চাল ব্যবসায়ীদের উত্তরবঙ্গের মিল মালিকদের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। তারা যখন যে রেট দেবে আমাদের ওই রেটে ক্রয় বিক্রয় করতে হয়। ২৫ কেজি চালের বস্তায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাল ক্রয় করতে আসা অটো চালক আবুল হোসেন ও দিনমজুর শুকুর আলী আক্ষেপ করে বলেন, মোরা আগে জানতাম ভরা মৌসুমে চালের দাম কম থাকে। এখন দেখি তার উল্টা।
সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হলে চালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের ভিতরে চলে আসবে।
এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যে কাউখালীতে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে চালের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে হবে। যদি কোন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে চাল মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।